বেতন বৃদ্ধির দাবীতে পৌরসভার অস্থায়ী কর্মচারীরা ফের আন্দোলনে

19th January 2021 9:28 pm হুগলী
বেতন বৃদ্ধির দাবীতে পৌরসভার অস্থায়ী কর্মচারীরা ফের আন্দোলনে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : বেতন বৃদ্ধির দাবীতে হুগলি-চুঁচুড়া পৌরসভার অস্থায়ী কর্মচারীদের আন্দোলন নতুন নয়। গত বছরেও   আন্দোলন জারি দেখিয়েছিলেন।  একের পর এক আন্দোলন মিটিং মিছিলে সরগরম হয়ে উঠেছিলো পুরসভা। জেরবার হয়েছিলো নাগরিক পরিষেবা। অস্থায়ী কর্মচারীদের দাবী মেনে নিয়ে সেই সময় পৌরসভা জানিয়েছিলো আপাতত তাঁদের দৈনিক ৩০টাকা করে বেতন বৃদ্ধি হবে। দাবীমত বাকি ৩০টাকা অর্থাৎ দৈনিক ৬০টাকা করে জানুয়ারি মাসের  বেতন বাড়ানো হবে। অভিযোগ চলতি মাসে বেতন হলেও বর্ধিত ৩০টাকা না মেলায় পুনরায় আন্দোলনে সামিল হয়েছে অস্থায়ী শ্রমিকরা। এই অস্থায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সিংহভাগই সাফাই কর্মী। মঙ্গলবার শ্রমিক নেতা রাধেশ্যাম শঙ্খবনিকের নেতৃত্বে শ্রমিকরা পৌরসভা থেকে এক মিছিলের আয়োজন করে। মিছিল হাসপাতাল রোড ধরে চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে গিয়ে সমাপ্ত হয়। সেখানে একটি প্রতিবাদ সভা আয়োজিত হয়। সভা চলাকালীন তাঁদের দাবীদাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয় সদর মহকুমা শাসককে। দাবী না মিটলে আগামীদিনে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ারও হুমকি দেয়। যদিও শ্রমিকদের  এই ধারাবাহিক আন্দোলনের পিছনে বিরোধীদের মদত রয়েছে বলে দাবী চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের। বিধায়ক বলেন জন-পরিষেবা বন্ধ করে কোনভাবেই আন্দোলনকে সমর্থন করা যায় না। অস্থায়ী শ্রমিকরা নিয়ম মেনে ৮ঘন্টা করে কাজ করে না। তাও তাঁদেরকে বেতন দেওয়া হয়। এভাবে পরিষেবা বন্ধ করে আন্দোলন করলে বেতন কাটার পাশাপাশি নতুন বেকার যুবকদের কাজে নেওয়া হবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।